প্রে’মিককে কাছে পেতে জুসের স’ঙ্গে বি’ষপান করিয়ে নিজের ৩ শি’শু স’ন্তানকে হ’ত্যা করতে চেয়েছিলেন পা’ষা’ণ্ড মা ফা’হিমা খা’তুন।
এতে এক স’ন্তান মারা গেলেও ভা’গ্য’ক্রমে বেঁচে যায় দুই স’ন্তান। ম’ঙ্গলবার হ’বিগ’ঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যা’জি’স্ট্রে’ট তৌহিদুল ইসলামের আ’দালতে ১৬৪ ধারায় স্বী’কারো’ক্তি’মূলক জ’বানব’ন্দি প্র’দান করেন ফা’হিমা খা’তুন। আ’দালতে স্বী’কা’রো’ক্তি প্র’দান শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ম’ঙ্গলবার রাতে নিজ কা’র্যালয়ে সং’বাদ স’ম্মেলনে অ’তিরিক্ত পু’লিশ সুপার মো’হা’ম্মদ রবিউল ইসলাম এ ত’থ্য নি’শ্চিত করেন।
তিনি জানান, দী’র্ঘদিন ধরে হ’বিগ’ঞ্জ সদর উ’পজেলার রাজিউড়া ই’উনিয়নের উচাইল-চারিনাও গ্রা’মের ইজিবাইক চালক সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী ফা’হিমা খা’তুনের স’ঙ্গে পাশের বাড়ির আ’ক্তার মিয়ার প’রকীয়া প্রে’মের স’ম্পর্ক চলছিল। এক পর্যায়ে তারা ঘর বাঁ’ধার স্ব’প্ন দেখেন।
কি’ন্তু এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ফা’হিমার ৩ স’ন্তান। ১৮ ন’ভে’ম্বর স’ন্ধ্যায় বাড়ির পাশের দোকান থেকে ফা’হিমা ২টি লিচুর জুস কিনে এনে প্রে’মিক আ’ক্তার মিয়ার হাতে দেন। আ’ক্তার মিয়া জুসে বিষ মেশান। পরে আ’ক্তার মিয়া ও ফা’হিমা খা’তুন ৩ স’ন্তানকে উঠান থেকে ডেকে এনে জুস খাওয়ান।
জুস খাওয়ার পরই বি’ষ’ক্রিয়ায় ফা’হিমার ৩ শি’শু স’ন্তান ছটপট করতে থাকে। পরে এ’লাকাবাসীর সহায়তায় ৩ শি’শুকে হবি’গ’ঞ্জ সদর আধুনিক হা’সপাতালে নিয়ে গেলে ৭ বছরের মেয়ে সাথী আ’ক্তারকে মৃ’ত ঘোষণা করেন ক’র্তব্যরত চি’কিৎ’সক।
অপর দুই স’ন্তান তো’ফাজ্জল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকি’ৎসা নেয়ার পর সু’স্থ হয়।
এরপরই ফা’হিমা ও আ’ক্তারের প’রকীয়া প্রে’মের বিষয়টি প্র’কাশ পায়। এ ঘ’টনায় ফা’হিমার স্বা’মী সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে স্ত্রী ফা’হিমাসহ ৩ জনের বি’রুদ্ধে আ’দালতে হ’ত্যা মা’মলা দায়ের করেন।