ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে দুটি মা”মলার চূ’ড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ।
ইরফানের বিরুদ্ধে অ-স্ত্র ও মা-দক বি’রোধী আইনে লালবাগ থানায় ওই মা’মলা করেছিল র্যা’পিড অ্যা’কশন ব্যা’টালিয়ন (র্যাব)।
মা’মলার এ’জাহারে বর্ণিত ঘটনার সঙ্গে ত’দন্তে প্রাপ্ত তথ্য ভিন্ন হওয়ায় এবং অ’ভিযোগের পক্ষে ‘তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায়’ গতকাল রোববার আদালতে ওই রিপোর্ট দেওয়া হয়।
পুলিশের এই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘ফাইনাল রিপোর্ট অ্যাজ মিসটেক অব ফ্যা’ক্ট (এফআরএমএফ)’। মা’মলার দুই মাসের মাথায় এ প্রতিবেদন দেওয়া হলো।
এ’কাধিক দায়িত্বশীল সূত্র গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দুই মা’মলার অ’ভিযোগের দায় থেকে ‘মুক্তি’ পাওয়ার পর এখন ইরফানের বিরুদ্ধে আর একটি মা’মলা ত’দন্তাধীন।
নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তার করা এ মা’মলা ত’দন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন,
ইরফানের বিরুদ্ধে দুটি মা’মলায় ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘মি”সটেক অব ফ্যা’ক্ট’।ইরফানের ঘটনায় দায়ের করা মা’মলার ত’দন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার পরিদর্শক (অ’পারেশন্স) দেলোয়ার হোসেন বলেন,
‘ইরফানের বিরুদ্ধে অ-স্ত্র ও মা-দকের মা”মলার ত’দন্ত করেছে লালবাগ থানা পুলিশ। আমরা ত’দন্ত করে যা পেয়েছি, তা রিপোর্টে উল্লেখ করে প্রতিবেদন দিয়েছি। প্রতিবেদনটি এখন যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে।’
ইরফানের মা”মলার এ প্রতিবেদনের ব্যাপারে বিস্তারিত আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ত’দন্ত কর্মকর্তা।
গত ২৫ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডিতে হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মা-র-ধ-র করা হয়। পরদিন এ ঘটনায় ইরফানসহ আরও চারজনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অ”জ্ঞাত পরিচয় দু-তিনজনকে আ”সামি করে ধানমন্ডি থানায় মা”মলা করেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা। ২৬ অক্টোবর পুরান ঢাকায় হাজী সেলিমের বাসায় দিনভর অ”ভিযান চালায় র্যাব। ইরফানকে দেড় বছর ও তার দে’হর-ক্ষীকে এক বছরের কা-রাদ-ণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ মা”মলায় এখন পর্যন্ত এ’জাহার ভু’ক্ত চার আ”সামির সবাইকে গ্রে’প্তার করে আইনশৃঙ্খলা র”ক্ষাকারী বাহিনী।
ইরফান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সাসপেন্ড হওয়া কাউন্সিলর। তার শ্বশুর নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী।
আরেক মা”মলার ত’দন্ত: নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মা-র-ধ-রের মা’মলায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু, দে’হর-ক্ষী মোহাম্মদ জাহিদ ও গাড়িচালক মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অ”জ্ঞাত পরিচয় আরও তিন-চারজনকে আ”সামি করা হয়েছিল। এ’জাহারে বে-আইনি ভাবে পথ রো’ধ করে সরকারি কর্মকর্তাকে মা-র-ধ-র, জ-খম ও প্রাণনা-শের হু-মকি দেওয়ার অ-ভিযোগ আনা হয়। পরে থানা থেকে মা”মলার ত”দন্তভার ডিবির ওপর ন্য’স্ত হয়।
ত’দন্ত-সংশ্নিষ্ট এক কর্মকর্তা গতকাল জানান, নৌবাহিনীর কর্মকর্তার করা মা”মলার ত’দন্তও প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। এখন পর্যন্ত এ মা’মলায় যে তথ্য-উপাত্ত মিলেছে, তাতে ইরফান ও তার সহযোগীদের অ”পরাধ প্রমাণ করা সম্ভব। দ্রুত সবার অ”পরাধের আরও চুলচেরা বিশ্নেষণ করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে