ঢাকার অদূরে আশুলিয়া থানায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যা মামলার আসামি নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে আশুলিয়া থানার ইয়ারপুর এলাকায় মন্নাসের বাঁশবাগানের ভেতর এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম বাবলু (২৭)। তিনি বগুড়ার সোনাতোলা উপজেলার কেটনি মুন্সিপাড়া গ্রামের বাবর আলী মুনশির ছেলে। আশুলিয়ায় মেহেদী হাসান অপহরণ ও হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি বাবলু।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৯ নভেম্বর আশুলিয়া থেকে অপহরণ করা হয় মেহেদী হাসানকে। মেহেদী হাসানের গ্রামের বাড়ি যশোরের বাঘারপাড়া থানার অনন্তরামপুর গ্রামে। তিনি আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। এরপর ১২ নভেম্বর নিশ্চিন্তপুর এলাকার রাস্তার পাশে পলিথিন ব্যাগের ভেতরে মেহেদী হাসানের সাত খণ্ড লাশ পাওয়া যায়। মাথা পাওয়া যায়নি। পরে ১৫ নভেম্বর বাবলুর বাসা থেকে মাথা উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ২৬ নভেম্বর আমানুল্লাহ, আলিম ও সুমন নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা ২৭ নভেম্বর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে হত্যার বর্ণনা দেন। তাঁরা জানান, এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও হোতা ছিলেন বাবলু।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান মোল্লা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি মেহেদী হাসান হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি জানান, গতকাল রাতে পুলিশ খবর পায়, কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে বাবলু ইয়ারপুর এলাকায় অবস্থান করছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বাবলু দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে বাঁশঝাড়ের ভেতরে গিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে সেখানে বাবলুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।