বাংলাদেশের ক্রিকেটার নাসির হোসেন ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে বিয়ে করেছেন।
গেল বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি ) হলুদ ও শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) হয়েছে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা। এরমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে স্বামীকে তালাক না দিয়েই নাসিরের সঙ্গে বিয়ে করেছেন স্ত্রী তামিমা তামি।
শনিবার দুপুরে রাইসা ইসলাম বাবুনি নামক এক ফেসবুক ব্যবহারকারীর একটি পোস্ট ভাইরাল হয়। যেখানে তামিমার স্বামী রাকিবের পক্ষে দাবি করা হয়েছে, এখনও তাদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক রয়েছে।
তাদের ঘরে রয়েছে ৮ বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তানও। তালাক না দিয়ে নতুন বিয়ে করায় তামিমার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন রাকিব।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ওই পোস্টে রাকিবের সঙ্গে নাসিরের একটি অডিও কলও রয়েছে। যেখানে নাসির রাকিবকে ফোন দিয়ে জানতে চান কেনো তিনি জিডি করেছেন।
এদিকে ২০১১ সালে রাকিবের সঙ্গে তামিমার বিয়ে হয়।এদিকে, নাসিরের সঙ্গে একাধিকার যোগাযোগ করা হলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:চলে গেছেন দেশ বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। মৃ’ত্যুর আগে তিনি বলে গেছেন, তার যেন একাধিক জানাজা না হয়।
নারিন্দার পীর সাহেব যেন তার জানাজা নামাজ পড়ান। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান তার জামাতা ইমতিয়াজ আহমেদ রাশেদ।
তিনি বলেন, ‘বাবা মৃ’ত্যুর আগে বলেছেন, শুধু একটি জানাজা পড়াতে। তিনি নারিন্দার পীর সাহেবের মুরিদ ছিলেন। তাই তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী নারিন্দার পীর সাহেব তার গোসলের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।
বাবা বলেছেন- তার মৃ’ত্যুর পর গোসল, জানাজা ও দাফন নারিন্দার পীর সাহেবের হাতে যেন হয়। তার শেষ ইচ্ছে ছিল, সূত্রাপুরে জানাজা ও দাফন করা হবে জুরাইন কবরস্থানে।’
এটিএম শামসুজ্জামান শনিবার সকাল ৯টার দিকে সূত্রাপুরের নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃ’ত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বি’ষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন।
তিনি প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছিলেন ‘জলছবি’ সিনেমার জন্য।অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের অভিষেক ১৯৬৫ সালে। এরপর ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়ক হিসেবে তিনি আলোচনা আসেন। ২০০৯ সালে ‘এবাদত’ নামের প্রথম সিনেমা পরিচালনা করেন এটিএম শামসুজ্জামান।
১৯৮৭ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দায়ী কে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। ২০১২ সালে রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান এটিএম শামসুজ্জামান। ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই অভিনেতা। এছাড়া শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।